খলসে মধু ক্রয়ের আগে জেনে নিনঃ
খলসে মধু ক্রয়ের আগে জেনে নিনঃ
যেহেতু আমাদের মধু মেশিনে প্রসেস করা মৃত মধু নয় বরং চাক থেকে সরাসরি বোতলজাত করা জিবীত র মধু,
এবং যদিও প্রকৃতিক ভাবে সুর্যের নীচে খোলা রেখে সামন্য ন্যাচারাল প্রসেস করা হয়, এবং সেটাও যেহেতু অনিয়মিত,
সেহেতু এই সুন্দরবনের খলসে মধুতে নিম্নলিখিত প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারেঃ
১. এ মধু খুবই পাতলা হবে। অনেকটা পানির কাছাকাছি। এটা এই মধু প্রথম বৈশিষ্ট।
১. এ মধুতে ঘন ফোমের মতো ফেনা ও গ্যাস হতে পারে। নাড়াচাড়ায় এটা বেশী হয়। ঘন্টাতিনেক স্থির রেখে দিলে নিজে নিজেই এটা ঠিক হয়ে যাবে। মধুতে থাকা এনজাইমস সক্রিয় থাকার কারনে এটা হয়।
২. এ মধু একটানা কিছুদিন রেখে দিলে মধুর উপরিভাগে একধরনের পাতলা খয়েরী আস্তর দেখা যেতে পারে। এগুলা হলো মধুর মধ্যে দ্রবীভুত থাকা পোলেন। যেটা অত্যন্ত পুষ্টিকর। স্থিরতা পেলে এই দ্রবীভুত পোলেনগুলি ধীরে ধীরে উপরে এসে জমা হয়। মধুর বোতল হাল্কা ঝাঁকি দিয়ে অথবা পরিস্কার চামচের সাহায্যে সেটা ধীরে ধীরে নেড়ে পুনরায় মধুর সাথে মিশিয়ে দেবেন, চাইলে আলাদা করে খেতেও পারেন। এর পুষ্টিগুন অতুলনীয়। (পোলেন সম্বন্ধে জানুন)
৩. সময়ের সাথে সাথে এই মধুর রং বদলায়। এটা মধুতে থাকা উদ্বায়ী যৌগের কাজ। মধুর স্বাদ ঘ্রান বর্ন নিয়ন্ত্রন করে এই উদ্বায়ী যৌগ। এ মধু চাক থেকে বের করার এক মাস পর্যন্ত লাইট এ্যাম্বার ( উজ্জল ফিকে হলুদ) কালার, তারপর এ্যাম্বার ( হাল্কা হলুদ) এবং ধীরে ধীরে দুতিন মাসের মাথায় একেবারে গাড় হলুদ বা খয়েরী রং ধারন করে। এটা এ মধুর আরেকটা প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য।
৪. ঠান্ডা আবহাওয়ায় অথবা ফ্রীজে রাখলে এই মধুর সার্বিক ঘনত্ব সামান্য বৃদ্ধি পায়। একটু গাড় গাড় মনে হতে পারে।
৫. লিচু, সরিষা, ধনিয়া বা কালাই এর মধুর মতো এই মধু জমে না।
৩. এ মধু খালি হাতের/ আঙ্গুলে ছোঁয়ায়, মুখের লালা, পানি, পিঁপড়ে ইত্যাদি গেলে ধীরে ধীরে জারন প্রকৃয়ার দিকে যেতে থাকে। আর জারন প্রকৃয়া ( জারন প্রকৃয়া কি? ) শুরু হয়ে গেলে মধুর পোলেন আলাদা হয়ে মধু পানির মতো তরল হয়ে যায়, পাশাপাশি তীব্র ঝাঁজালো অপ্রিতীকর ঘ্রান সৃষ্টি করে।
সেজন্য আমরা যে পরামর্শ দিয়ে থাকি